রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লা থেকে জুয়েল খন্দকারের পাঠানো প্রতিবেদন:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলমের অনিয়ম ও দুর্নীতি ও বেতন বৈষম্যেসহ নয় দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেন সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। দীর্ঘ ২ ঘণ্টার পর নির্বাহী কর্মকর্তাকে তার কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ রাখেন।
এ সময় হাজার কর্মচারী সিইইউর অফিসের সামনে অবস্থান করে ভূয়া ভূয়া স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টার পরে ব্যার্থ হয়।।পরে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আন্দোলনকারী কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে আসছে, আমরা তার প্রতিবাদ করতে গেলে, আমাদের চাকরি হারাতে হয়।
সাইফুল ইসলামের এক শ্রমিকরা জানায়, আমাদের দৈনিক ৩৫০টাকা নিতান্তই কম, যার ফলে তারা মানবতর জীবন যাপন করছে। বেতনবৃদ্ধি সহ তাদের দাবীর মধ্যে প্রধান দাবী কাউন্সিলর পরিবর্তন হওয়ার কারনে কোন কর্মচারীকে চাকীচ্যুত করা যাবে না। উৎসব ভাতা, মজুরি কমপক্ষে ১৬৫০০, বেতন মজুরীতে বৈষম্য দুর, মাতৃত্বকালীন ছুটি, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যাবস্থা, বয়স সীমা শিথিল, চাকুরী স্থায়ী, শ্রমিক মৃত্যু বরন করলে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সিয়াম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, এই নির্বাহী কর্মকর্তা প্রায় বিশবছর ধরে কুমিল্লার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শোষন করে যাচ্ছে। আমরা এই কর্মকর্তার অপসারন চাচ্ছি।
উল্লখ্য,দীর্ঘ ২০বছর ধরে কুমিল্লার সেটেলম্যান্ট, পরিবেশ, ওয়াশা ও সিটি কর্পোরেশনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সুসম্পর্ক রেখেছে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে। ঠিকাদারদের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারনে পেতেন বিশেষ সুযোগ সুবিধা। করতেন নিয়োগ বানিজ্য, চেক জালিয়াতি, ডোবা-পুকুর ভরাট করে হোল্ডিং নাম্বার প্রদান, ওয়ার্ড সচিবদের চাকরি স্থায়ী করার লোভ দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৩থেকে ৪ লক্ষ্য টাকা। দিয়েছেন অবৈধ ভাবে বিল্ডিং এর প্ল্যানপাশের অভিযোগ রয়েছে।